ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ইয়াবা বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রলীগ নেতার বসতঘর ভাংচুর: আহত-২

ahot.এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও ছাত্রলীগ নেতার বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। ঘটনার সময় মারধরে আহত হয়েছেন স্থানীয় ফজল করিমের পুত্র মহিউদ্দিন ও মৃত ইছলাম আহমদের মোঃ আকাশ। সংঘটিত এ ঘটনার পর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগে জানা গেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় ইয়াবা বিকিকিনি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় কিছু যুবক জড়ো হয়ে ডুলাহাজারা বাজার এলাকায় মহসিন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মোবাইল টেলিকম সেন্টারে ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

ঘটনার সময় দোকান মালিক মহসিনের পক্ষের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সহকারী শফিউল আলম নামের এক যুবককে মারধরের চেষ্টা করে। ঘটনা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও তার ভাই মনছুর আলম এবং পরিষদের মেম্বার আবছারের নেতৃত্বে আরো ৩০-৪০ জন লোক বাজারে এসে দোকান মালিক মহসিনের লোকজনকে খুঁজতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার একপর্যায়ে কাউকে না পেয়ে অভিযুক্তরা পাশের নতুন পাড়া পাড়া এলাকার গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জাবের আহমদ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাসরুর হাসান রইসের এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমির হামজার বাড়িতেও ঢুকে ব্যাপক তান্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নেজাম উদ্দিন।

তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। হামলার ঘটনায় তিনি বা তাঁর লোকজন জড়িত নন বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

আক্রান্ত ছাত্রলীগ নেতা মাসরুর হাসান রঈস অভিযোগ করেছেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলাকারীরা আমার বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ঘেরা বেড়া ও একটি ট্রাক সহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান সহ সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে হামলা করতে আসছিল। আমাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি পরিবারের বাড়িতে তান্ডব চালায়। বিষয়টি নিয়ে আমি আতঙ্কিত। তাঁরা যেকোন মুহুর্তে আমার উপর আক্রমন চালাতে পারে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: